কফি, কাজুবাদামসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদে ও প্রক্রিয়াজাতে কৃষক ও উদ্যোক্তাসহ যারা এগিয়ে আসবেন তাদেরকে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ, উৎপাদনে পরামর্শ, কারিগরি ও প্রযুক্তিসহ সকলক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।
গত ৪ অক্টোবর ২০২০, নীলফামারীতে অবস্থিত ‘জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ড্রাস্ট্রির’ প্রসেসিং ইউনিট-২ এর উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাজুবাদাম অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষের ও উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। বিশেষ করে, পার্বত্য এলাকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কাজু বাদাম, কফি আবাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বিদেশে রপ্তানির জন্যও রয়েছে প্রচুর সুযোগ। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ফসলের চাহিদা অনেক বেশি।
মন্ত্রী এ সময় কৃষক ও শিক্ষিত তরুন উদ্যোক্তাদেরকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজুবাদাম, কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জ্যাকপট কাসুনাট ইন্ডাট্রিজের ওপর উপস্থাপনায় বলা হয়, ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রধান উদ্যোক্তা ইবনুল আরিফুজ্জামান নীলফামারী জেলার স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে ‘জ্যাকপট কাসুনাট ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড’ নামে কাজু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে তুলেন। সঙ্গে ছিলেন সহ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম ও জনি সাহা। শুরুতে মাত্র ১৫ জন কর্মী নিয়ে শুরু হলেও এখন এই কারখানায় ৫০ জন কর্মী কাজ করেন যার ৪৯ জনই নারী কর্মী। বর্তমানে কারখানাটির মাসিক উৎপাদন ৪০০০ কেজি। শুরুতে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় দিয়ে শুরু করলেও এখন তা সুপারশপ এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় বাণিজ্যিভাবে বিক্রয় করছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুল মুঈদ, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ, জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ড্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রামাণিক, জ্যাকপট কাজুবাদাম ইন্ড্রাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজ্জামান ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।